অভিভাবক এবং
প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করার আইন। যেহেতু অভিভাবক এবং
প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন; সেহেতু উহা এতদ্বারা নিম্নরূপ
বিধিবদ্ধ করা হল।
১ম
অধ্যায়
প্রারম্ভিক
ধারা-১।
শিরোনাম, আওতা ও প্রারম্ভ :
(১) এই আইনকে অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০
নামে অভিহিত করা যেতে পারে,
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য, এবং
(৩) ১৮৯০ সনের ১ জুলাই হতে ইহা কার্যকর হবে।
ধারা-২। ১৯৩৮
সনের ১নং আইন দ্বারা বাতিল করা হয়েছে।
ধারা-৩। ১৯৭৩
সনের ৮নং আইনের ২ ধারা দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
ধারা-৪।
সংজ্ঞা :
এই
আইনের বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কিছু না থাকলে-
(১) “নাবালক” বলতে ১৮৭৫ সালের (১৮৭৫ সনের ৯নং আইন)
সাবালকত্ব মর্ম মতে যে এখনো সাবালকত্ব লাভ করে নাই তাকে বুঝায়।
(২) “অভিভাবক” বলতে যে ব্যক্তি কোন নাবালকের শরীর অথবা
সম্পত্তি অথবা সম্পত্তি ও শরীর উভয়ের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত তাকে বুঝায়।
(৩) “প্রতিপাল্য” বা “ওয়ার্ড” বলতে একজন নাবালক যার শরীর বা সম্পত্তি অথবা শরীর এবং সম্পত্তির
জন্য একজন অভিভাবক আছে তাকে বুঝায়।
(৪) জেলা আদালত বলতে দেওয়ানী কার্যবিধিতে (১৯০৮
সনের ৫নং আইন) যে অর্থ বুঝান হয়েছে তা বুঝায় এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের সাধারণ মূল
দেওয়ানী অধিক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে;
(৫) “আদালত” বলতে-
(ক) এই আইনে কোন ব্যক্তিকে অভিভাবক নিযুক্ত অথবা ঘোষণা করার জন্য
দরখাস্ত গ্রহণ করার বৈধ কর্তৃত্বসম্পন্ন জেলা আদালতকে বুঝায়, অথবা
(খ) যেখানে এরূপ কোন দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা
করা হয়েছে-
(i) আদালত অথবা ঐ কর্মকর্তার আদালত যিনি অভিভাবক নিয়োগ অথবা ঘোষণা করেছেন
অথবা এই আইনে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করেছেন বলে মনে করা হয়, অথবা
(ii) নাবালকের শরীর সম্বন্ধে যেকোন ব্যাপারে নাবালক কিছু সময়ের জন্য সাধারণত
যেখানে বসবাস করে সে এলাকার জেলা আদালত, অথবা
(গ) ৪ক ধারায় বদলিকৃত কোন মামলা ঐ কর্মকর্তার আদালতে যার নিকট উক্ত
মামলা বদলি উক্ত মামলা বদলি করা হয়েছে।
(৬) “কালেক্টর” বলতে কোন জেলার
রাজস্ব প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাকে বুঝায় এবং সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নামে
বা পদ মর্যাদার বলে কাকে কোন স্থানীয় এলাকার জন্য বা এই আইনের সকল বা কোন
উদ্দেশ্যে কোন শ্রেণীর লোকের জন্য কালেক্টর নিযুক্ত করলে তাও অন্তর্ভুক্ত করবে;
(৭) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ৩ ধারা, ২য় তফশিল
দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে
(৮) “নির্ধারিত” বলতে মহামান্য
সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত কোন বিধিকে বুঝায়।
ধারা-৪ক।
অধ:স্তন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার উপর কর্তৃত্ব আরোপ করার এবং মামলা বদলি করার
ক্ষমতা :
(১) হাইকোর্ট ডিভিশন সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা মূল দেওয়ানী কর্তৃত্ব
প্রয়োগ করে জেলা আদালতের অধ:স্তন এমন কোন কর্মকর্তাকে বা কোন জেলা আদালতের জজকে
তার অধ:স্তন কোন কর্মকর্তাকে তার নিকট বদলিকৃত যেকোন মামলা এই ধারা অনুসারে
নিষ্পত্তি করবার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন।
(২) কোন জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা নিষ্পত্তির জন্য তাঁর আদালতে
অপেক্ষমান এই আইনের যেকোন মামলা (১) উপ-ধারার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যেকোন
আদালতে বদলি করতে পারেন।
(৩) কোন জেলা আদালতের জজ (১) উপ-ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যে কোন
আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে অপেক্ষমান এই আইনের কোন
মামলা তার নিজ আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে বদলি করতে
পারেন।
(৪) অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষিত হয়েছে এমন ধরনের এই আইনের কোন মামলা বদলি
করা হলে জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষণা করতে পারেন যে, সেখানে এমন ধরনের মামলা বদলি হয়েছে তেমন জজের আদালত বা অফিসকে এই আইনের
কোন বা সব উদ্দেশ্য অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষিত হওয়ার আদালত মনে করা হবে।
২য়
অধ্যায়
অভিভাবক
নিয়োগ ও ঘোষণা
ধারা-৫। ১৯৭৩
সনের ৮নং আইন, ৩ ধারা ও ২য় তফশিল দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
ধারা-৬।
অন্যক্ষেত্রে নিয়োগ ক্ষমতার ব্যতিক্রম:
এই ধারার কোন
কিছু দ্বারাই কোন নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির অভিভাবক নিয়োগের ক্ষমতা যা আইনে বৈধ
তা নিয়ে যাওয়া বা কমিয়ে দেয়া ব্যাখ্যা করা যাবে না।
ধারা-৭।
অভিভাবকত্বের ব্যাপারে আদেশ প্রদানে আদালতের ক্ষমতা:
(১) যেখানে আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে নাবালকের মঙ্গলের জন্য আদেশ
প্রদান করা প্রয়োজন-
(ক) তার শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা উভয়ের ব্যাপারে একজন অভিভাবক নিযুক্ত
করে, অথবা
(খ) কোন ব্যক্তিকে তেমন অভিভাবক ঘোষণা করে আদালত তদানুসারে আদেশ প্রদান
করতে পারেন;
তবে শর্ত এই
যে নাবালক বাংলাদেশের নাগরিক হলে বাংলাদেশী নাগরিক ছাড়া অন্য কাকেও তার অভিভাবক
নিযুক্ত করা যাবে না।
(২) উইল বা অন্য কোন দলিল দ্বারা নিযুক্ত না হলে অথবা কর্তৃক ঘোষিত না
হলে এই ধারাবলে কোন আদেশ কোন অভিভাবকের অপসারণ বুঝাবে।
(৩) যেক্ষেত্রে কোন অভিভাবক উইল বা অন্য দলিল দ্বারা অথবা আদালত কর্তৃক
নিযুক্ত বা ঘোষিত হয়েছে সেক্ষেত্রে এ ধারায় অন্য কোন ব্যক্তিকে তার পরিবর্তে
অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করা যাবে না যে পর্যন্ত না উক্তভাবে নিযুক্ত বা ঘোষিথ
অভিভাবক এই আইন অনুসারে দায়িত্ব পালন বন্ধ করেছে।
ধারা-৮।
আদেশ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে যারা স্বত্ববান:
শেষোক্ত
ধারাগুলির অধীনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের দরখাস্ত ছাড়া কোন আদেশ দেয়া হবে না-
(ক) যে ব্যক্তি অভিভাবক হতে ইচ্ছুক বা অভিভাবক হবার দায়ী করে, অথবা
(খ) নাবালকের কোন আত্নীয় বা বন্ধু, অথবা
(গ) জেলা কালেক্টর বা অন্য স্থানীয় এলাকার যেখানে নাবালক সাধারণত বসবাস
করে অথবা যেখানে তার সম্পত্তি আছে, অথবা
(ঘ) নাবালক যেই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সেই শ্রেণীর উপর কর্তৃত্ব আছে এমন
কালেক্টর।
ধারা-৯।
দরখাস্ত গ্রহণ করায় আদালতের এখতিয়ার :
(১) যদি দরখাস্ত নাবালকের বা প্রতিপাল্যের শরীরের অভিভাবকত্বের ব্যাপারে
হয় তা হলে নাবালক সাধারণত যেখানে বসবাস করে সে এলাকার জেলা আদালতে তা দাখিল করতে
হবে।
(২) যদি দরখাস্ত নাবালকের বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তির অভিভাবকত্বের
ব্যাপারে হয় সে ক্ষেত্রে উহা এক হয় নাবালক যেখানে সাধারণত বসবাস করে বা যেখানে তার
সম্পত্তি আছে সেই এলাকার জেলা আদালতে দাখিল করতে হবে।
(৩) নাবালকের বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তির অভিভাবকত্বের ব্যাপারে নাবালক
যেখানে সাধারণত বাস করে সে এলাকার জেলা আদালত ছাড়া অন্য আদালতে দরখাস্ত করলে,
উক্ত আদালত এখতিয়ার সম্বলিত অন্য জেলা আদালত কর্তৃক উক্ত দরখাস্ত
আরো ন্যায়ত ও সুবিধাজনকভাবে নিষ্পত্তি হবে বিবেচনা করলে উক্ত দরখাস্ত ফেরত দিতে
পারবেন।
ধারা-১০।
দরখাস্তের ধরন:
(১) যদি কালেক্টর দরখাস্ত না দেন তা হলে দেওয়ানী কার্যবিধিতে (১৯৮০ সনের
৫নং আইন) আরজি দরখাস্ত ও প্রতিপাদনের জন্য নির্ধারিত নিয়মে ঐ দরখাস্তেও স্বাক্ষর ও
প্রতিপাদন হতে এবং যতদূর পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়-
(ক) নাবালকের নাম, লিঙ্গ, জণ্ম তারিখ এবং তাহার সাধারণ বাসস্থান;
(খ) নাবালক স্ত্রীলোক হলে সে বিবাহিতা কিনা এবং সেক্ষেত্রে তার স্বামীর
নাম এবং বয়স;
(গ) নাবালকের সম্পত্তির রকম, অবস্থান এবং
আনুমানিক মূল্য, যদি থাকে;
(ঘ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির জিম্মাদার বা দখলকারের নাম এবং বাসস্থান;
(ঙ) নাবালকের নিকট আত্নীয় কারা এবং তাদের বাসস্থান;
(চ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের অভিভাবক নিয়োগ দানে
স্বত্বাধিকারী বা আইনগত নিযুক্তি দিতে অধিকারী বলে দাবীকারী কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছে
কি না;
(ছ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের অভিভাবকত্বের জন্য কোন সময়ে
কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা এবং সেক্ষেত্রে কোন আদালতে এবং কি ফলাফল;
(জ) দরখাস্ত নাবালকের শরীর বা সম্পত্তি বা উভয়ের অভিভাবক নিয়েগ বা
ঘোষণার জন্য কি না;
(ঝ) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির বা উভয়ের জন্য অভিভাবক নিযুক্তি বা
ঘোষণার জন্য আবেদন কি না;
(ঞ) অভিভাবকের নিযুক্তির আবেদন হলে প্রস্তাবিত অভিভাবকের যোগ্যতাসমূহ;
(ট) কোন ব্যক্তিকে অভিভাবক ঘোষণার দরখাস্ত হলে উক্ত ব্যক্তির দাবীর
ভিত্তিসমূহ;
(ঠ) দরখাস্ত করার কারণসমূহ; এবং
(ড) অন্যান্য বিবরণ যদি নির্ধারিত থেকে থাকে অথবা দরখাস্তের প্রকৃতির
জন্য প্রয়োজন হয়, তা বর্ণনা করবেন।
(২) কালেক্টর কর্তৃক উক্ত দরখাস্ত করা হলে চিঠির আকারে আদালতে প্রেরণ
করতে হবে এবং ডাক বা সুবিধাজনক মনে করা তেমন কোন উপায়ে পাঠাতে হবে এবং দরখাস্তে
(১) উপধারায় বর্ণিত বিবরণগুলি যতদূর সম্ভব দিতে হবে।
(৩) দরখাস্তে প্রস্তাবিত অভিভাবকের কাজ করার ইচ্ছামুক্ত ঘোষণা থাকতে হবে
এবং ঐ ঘোষণা তার স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং দু’জন স্বাক্ষী দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
ধারা-১১।
দরখাস্ত গ্রহণের পর পদ্ধতি:
(১) যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে দরখাস্তটি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার যথে
কারণ আছে তা হলে উহা শুনানির জন্য একটি দিন ঠিক করবেন এবং দরখাস্ত ও শুনানির
তারিখের নোটিশ দিবেন-
(ক) দেওয়ানী কার্যবিধিতে নির্দেশিত মতে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের উপর জারি
করাতে হবে।
(১) নাবালকের মাতাপিতা যদি তারা বাংলাদেশ বাস করে;
(২) নাবালকের শরীর বা সম্পত্তি জিম্মাদার বা দখলদার হিসাবে দরখাস্তে বা
পত্রে কারো নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকলে;
(৩) উক্ত ব্যক্তি নিজে দরখাস্তকারী হয়ে থাকলে দরখাস্ত বা পত্রে যাকে
অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে; এবং
(খ) আদালতের কোন সুপ্রকাশ্য স্থানে এবং নাবালকের বাসস্থানে নোটিশ
টাঙ্গাতে হবে এবং এই আইন অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের কোন বিধি সাপেক্ষে আদালত যেভাবে
উপযুক্ত মনে করে সেভাবে প্রচার করতে হবে।
(২) ১০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্তে উল্লিখিত কোর্ট অব ওয়ার্ডস
তত্ত্বাবধান গ্রহণ করতে পারে এই মর্মে সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিতে পারে আদালত
ও যে কালেক্টরের এলাকায় সাধারণত বসবাস করে এবং সব কালেক্টরের উপর যাদের জেলায়
সম্পত্তির অংশবিশেষ অবস্থিত তাদের উপর উপরোল্লিখিত উপায়ে নোটিশ জারি করবেন,
কালেক্টরও যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন সেভাবে নোটিশ জারি করতে
পারবেন।
(৩) (২) উপ-ধারা অনুযায়ী কোন নোটিশ জারির জন্য বা প্রচারের জন্য আদালত
বা কালেক্টর কোন খরচ ধার্য করবেন না।
ধারা-১২।
নাবালকের উপস্থাপনের জন্য এবং সম্পত্তি বা শরীরের মধ্যকালীন সংরক্ষণের জন্য
অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদানের ক্ষমতা:
(১) প্রতিপাল্য বা নাবালককে কোন নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে
নিযুক্ত ব্যক্তির সম্মুখে উপস্থিত করা বা করানোর জন্য তার জিম্মাদার কেহ থেকে
থাকলে আদালত তাকে নির্দেশ দিতে পারবেন এবং নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির অস্থায়ী
জিম্মা সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করলে আদেশ দিতে পারবেন।
(২) যদি নাবালক “মেয়ে” হয় যাকে জনসম্মুখে উপস্থিত করান উচিত
নয় সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথা ও রীতিনীতি অনুসারে তাকে উপস্থিত করবার জন্য
(১) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদান করতে হবে।
(৩) এই ধারার কোন কিছুই ক্ষমতা প্রদান করবে না-
(ক) স্বামী হওয়ার কারণে অভিভাবক হিসাবে দাবী করে এমন ব্যক্তির জিম্মায়
কোন নাবালক মেয়েকে দেয়া যাবে না যদি না ইতোপূর্বেই তার পিতামাতার (যদি থেকে থাকে)
সম্মতিতে সে তার জিম্মায় থেকে থাকে; অথবা
(খ) কোন নাবালকের অস্থায়ী জিম্মাদার এবং সম্পত্তির সংরক্ষণের দায়িত্বে
নিয়োজিত ব্যক্তি আইন অধীনে ছাড়া অন্যভাবে কোন সম্পত্তির দখলদারকে বেদখল করবার।
ধারা-১৩।
আদেশের পূর্বে সাক্ষ্য গ্রহণ:
দরখাস্ত
শুনানীর দিন অথবা যথাশীঘ্র সম্ভব তত্পরে দরখাস্তের পক্ষে বিপক্ষে দেয়া সাক্ষ্যসমূহ
আদালত শুনবেন।
ধারা
-১৪। বিভিন্ন আদালতে যুগপত কার্যাবলী (প্রসিডিং):
(১) অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণার মামলা একাধিক আদালতে চলতে থাকলে প্রত্যেক
আদালত অন্য আদালত বা আদালত সমূহের মামলার ব্যাপারে অবগত হওয়ার পর নিজ আদালতের
মামলা স্থগিত রাখবেন।
(২) এরূপ উভয় বা সকল আদালত একই হাইকোর্ট ডিভিশনের অধস্তন হলে প্রত্যেক
আদালত উক্ত মামলার ব্যাপারে হাইকোর্ট ডিভিশনের প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং হাইকোর্ট
ডিভিশন নাবালকের অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা সম্পর্কে উক্ত মামলা কোন আদালতে চলবে তা
সিদ্ধান্ত নিবেন।
(৩) (১) উপধারা মোতাবেক স্থগিত মামলার ব্যাপারে আদালতগুলি সরকারের নিকট
প্রতিবেদন দিবেন এবং এ ব্যাপারে স্ব স্ব সরকারের প্রদত্ত আদেশ অনুসারে পরিচালিত
হবেন।
ধারা-১৫।
বহু অভিভাবক নিযুক্তি বা ঘোষণা:
(১) নাবালক যে আইনের অধীন উক্ত আইন যদি তার শরীর, সম্পত্তি অথবা উভয়ের জন্য দুই বা ততোধিক যুগ্ন অভিভাবক অনুমোদন করে
আদালত উপযুক্ত মনে করলে তাদেরকে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করতে পারেন।
(২) ও (৩) উপধারা ১ঌ৭৩ সনের ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
(৪) নাবালকের শরীর ও সম্পত্তির জন্য ভিন্ন অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষণা করা
যায়।
(৫) নাবালকের অনেক সম্পত্তি থাকলে আদালত উপযুক্ত মনে করলে উক্ত
সম্পত্তির প্রত্যেকটির বা অনেকটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন অভিভাবক নিযুক্ত করতে পারেন।
ধারা-১৬।
আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত সম্পত্তির অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা:
কোন আদালত
উহার স্থানীয় এখতিয়ার বহির্ভূত সম্পত্তির জন্য কোন অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করলে যে
আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তি অবস্থিত উক্ত আদালত অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণার
জাবেদা নকল উপস্থাপনের পর উক্ত অভিভাবককে বৈধভাবে নিযুক্ত বা ঘোষিত অভিভাবক হিসাবে
গ্রহণ করবেন এবং ঐ আদেশটি কার্যকরী করবেন।
ধারা-১৭।
অভিভাবক নিয়োগকালে আদালত কর্তৃক বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
(১) নাবালকের অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণাকালে এই ধারার ব্যবস্থাবলী সাপেক্ষে
নাবালক যে ব্যক্তিগত আইনের দ্বারা পরিচালিত উহার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করবেন এবং
উক্ত নাবালকের মঙ্গলের জন্য যা উত্তম বিবেচনা করবেন সেরূপ আদেশ দিবেন।
(২) নাবালকের মঙ্গলের জন্য কোনটি উত্তম তা বিবেচনাকালে আদালত উক্ত
নাবালকের অন্যান্য নিকট আত্নীয় বা জ্ঞাতির চরিত্র ক্ষমতা, আত্নীয়তার নৈকট্য, মৃত পিতা-মাতার কোন ইচ্ছা
থাকলে তা এবং নাবালকের কিংবা তার সম্পত্তির সঙ্গে প্রস্তাবিত অভিভাবকের বর্তমান
অথবা পূর্বের সম্পর্কের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখবেন।
(৩) নাবালক এর বুঝবার বয়স ও ক্ষমতা থাকলে আদালত তাও বিবেচনা করবেন।
(৪) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইন দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
(৫) কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালত অভিভাবক নিয়োগ করবেন না।
ধারা-১৮।
পদাধিকার বলে কালেক্টরের নিয়োগ বা ঘোষণা:
যেক্ষেত্রে
আদালত কালেক্টরকে পদাধিকার বলে নাবালকের শরীর, সম্পত্তি বা উভয়ের অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করেন,
উক্ত নিয়োগ বা ঘোষণার আদেশ নাবালকের শরীর বা সম্পত্তি বা উভয়ের
অভিভাবক হিসাবে কাজ করার জন্য ঐ পদে ঐ সময়ে বিদ্যমান ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করা
হয়েছে মনে করা হবে।
ধারা-১৯।
বিশেষ ক্ষেত্রে আদালত অভিভাবক নিয়োগ করবেন না:
যে নাবালকের
সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর তত্ত্বাবধানে আছে সেক্ষেত্রে নাবালকের সম্পত্তির
অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করার অধিকার অত্র ধারা অনুযায়ী আদালতের নাই অথবা নিম্নরূপ
ক্ষেত্রে শরীরের অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করবার-
(ক) যেই নাবালক বিবাহিতা মহিলা এবং যার স্বামী আদালতের মতে অভিভাবক
হওয়ার অনুপযুক্ত নহে, অথবা
(খ) ইউরোপিয়ান বৃটিশ প্রজাদের বেলায় এই আইনের ব্যবস্থা সাপেক্ষে যে
নাবালকের পিতা জীবিত এবং আদালতের মতে নাবালকের শরীরের অভিভাবক হওয়ার অনুপযুক্ত নহে,
অথবা
(গ) যেই নাবালকের সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর তত্ত্বাবধানে যা
নাবালকের শরীরের ব্যাপারে অভিভাবক নিয়োগের উপযুক্ত।
তৃতীয়
অধ্যায়
অভিভাবেকর
কর্তব্য, সাধারণ অধিকার ও দায়-দায়িত্ব
ধারা-২০।
অভিভাবকের সঙ্গে নাবালকের বিশ্বাসের সম্পর্ক:
(১) নাবালকের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক বিশ্বাসের এবং উইল বা অন্য কোন
দলিলের (যদি থাকে) যার অনুবলে তাকে নিয়োগ করা হয়েছে উহার শর্ত ছাড়া, অথবা, এই আইনের ব্যবস্থা ছাড়া অভিভাবক তার পদ দ্বারা
কোন লাভ করতে পারবে না;
(২) নাবালকের সঙ্গে অভিভাবকের বিশ্বাসের সম্পর্ক অভিভাবক কর্তব্য
নাবালকের বা নাবালক কর্তৃক অভিভাবকের সম্পত্তি ক্রয় এবং নাবালক সাবালক হওয়া
পর্যন্ত বিস্তৃত এবং সাধারণত অভিভাবকের প্রভাব থাকাকালীন তাদের মধ্যকার লেনদেন
সমূহকে প্রভাবিত করে।
ধারা-২১।
নাবালকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করার ক্ষমতা:
একজন নাবালক
তা স্ত্রী বা সন্তান ছাড়া অন্য কোন নাবালকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করতে অক্ষম, অথবা যেক্ষেত্রে সে (নাবালক) যৌথ হিন্দু পরিবারের নির্বাহী সদস্য সেক্ষেত্রে ঐ পরিবারের
অন্য নাবালকের স্ত্রী অথবা সন্তানেরা ছাড়া।
ধারা-২৩।
অভিভাবক হিসাবে কালেক্টরের নিয়ন্ত্রণ:
নাবালকের
শরীর, সম্পত্তি বা উভয়ের
জন্য কালেক্টর আদালত কর্তৃক অভিভাবক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হলে তিনি নাবালকের
অভিভাবকত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাপারে সরকারের বা এতদপক্ষে গেজেট নোটিফিকেশন
দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে হবেন।
ব্যক্তির
অভিভাবক
ধারা-২৪।
ব্যক্তির অভিভাবকের কর্তব্য:
একজন নাবালক
বা প্রতিপাল্যের অভিভাবককে উক্ত প্রতিপাল্যের জিম্মার ভারার্পণ করা হয় এবং তাকে
অবশ্যই প্রতিপাল্যের ভরণ-পোষণ,
স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্য সমস্ত
ব্যাপার যেগুলি প্রতিপাল্য যে আইনের অধীনে সে আইনে প্রয়োজন, উহার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
ধারা-২৫।
প্রতিপাল্যের জিম্মায় অভিভাবকের হক:
(১) যদি কোন নাবালক বা প্রতিপাল্য তার ব্যক্তির অভিভাবকের জিম্মা ত্যাগ
করে বা তাকে জিম্মা হতে অপসারণ করা হয়, প্রতিপাল্যের
মঙ্গল বিবেচনায় তাকে অভিভাবকের জিম্মায় ফেরত দেয়া আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করলে তার
ফেরতের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারেন এবং ঐ আদেশ বলবত করবার জন্য প্রতিপাল্যকে
গ্রেফতার করতে এবং অভিভাবকের জিম্মায় প্রত্যার্পণ করাতে পারেন।
(২) প্রতিপাল্যকে গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে আদালত ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী
কার্যবিধির (১৮ঌ৮ সনের ৫নং আইন) ১০০ ধারাবলে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা
ব্যবহার করতে পারেন।
(৩) অভিভাবক নয় এমন ব্যক্তির সঙ্গে অভিভাবকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাস করার
কারণ অভিভাবকত্ব আপনা-আপনি অবসান হয় না।
ধারা-২৬।
প্রতিপাল্যকে এখতিয়ার হতে অপসারণ:
(১) অভিভাবক কালেক্টর না হলে অথবা উইল বা অন্য কোন দলিল দ্বারা নিযুক্ত
না হলে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক নির্ধারিত উদ্দেশ্য ছাড়া
আদালতের অনুমতি ব্যতিরেকে প্রতিপাল্যকে তার এখতিয়ারের সীমা হতে অপসারণ করতে পারবেন
না।
(২) (১) উপধারায় প্রদত্ত অনুমতি বিশেষ বা সাধারণ হতে পারে এবং অনুমতির
আদেশে তা বর্ণিত হতে পারে।
ধারা-২৭।
সম্পত্তির অভিভাবকের কর্তব্যসমূহ:
প্রতিপাল্য বা
নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক সাধারণ পরিণামদর্শী ব্যক্তির মত যতদূর সম্ভব সাবধানতার
সঙ্গে তার নিজের সম্পত্তির মত উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করতে বাধ্য এবং এই অধ্যায়ের ব্যবস্থাবলী
সাপেক্ষে সম্পত্তি অস্তিত্বদান (রিয়েলাইজেশন) সংরক্ষণ অথবা কল্যাণের জন্য
যুক্তিসঙ্গত এবং উপযুক্ত সব কাজ করতে পারবেন।
ধারা-২৮।
উইলগত অভিভাবকের ক্ষমতা:
উইল বা অন্য
কোন দলিল দ্বারা নিযুক্ত অভিভাবকের ক্ষেত্রে প্রতিপাল্য বা নাবালকের অস্থাবর
সম্পত্তি বন্ধক বা জিম্মা বা বিক্রি, দান, বিনিময় বা অন্যভাবে
হস্তান্তর করার ক্ষমতা দলিলের বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রয়োগযোগ্য হবে, তবে এ আইনের অধীনে তাকে অভিভাবক ঘোষণা করা হলে এবং দলিলের বাধা-নিষেধ
সত্ত্বেও আদালত লিখিত আদেশ দ্বারা কোন অস্থাবল সম্পত্তি অনুমতিতে বর্ণিত উপায়ে
হস্তান্তর করার অনুমতি দিতে পারেন।
ধারা-২৯।
আদালত কর্তৃক নিযুক্ত বা ঘোষিত অভিভাবকের ক্ষমতার সীমা:
কালেক্টর অথবা উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত অভিভাবক ছাড়া যে ব্যক্তি আদালত কর্তৃক প্রতিপাল্য বা নাবালকের অভিভাবক হিসাবে ঘোষিত হয়েছেন তিনি আদালতের পূর্ব অনুমতি ছাড়া-
(ক) তার প্রতিপাল্য বা নাবালকের অস্থাবর সম্পত্তির কোন অংশ বন্ধক, জিম্মা অথবা বিক্রি, দান, বিনিময় বা অন্যভাবে হস্তান্তর করতে পারবে না, অথবা
(খ) পাঁচ বছরের অধিক সময়ের জন্য কিংবা যে তারিখে নাবালক সাবালক হবে তারপর এক বছরের অধিক সময়ের জন্য তার সম্পত্তির কোন অংশের ইজারা বা পাট্টা প্রদান করতে পারবে না।
কালেক্টর অথবা উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত অভিভাবক ছাড়া যে ব্যক্তি আদালত কর্তৃক প্রতিপাল্য বা নাবালকের অভিভাবক হিসাবে ঘোষিত হয়েছেন তিনি আদালতের পূর্ব অনুমতি ছাড়া-
(ক) তার প্রতিপাল্য বা নাবালকের অস্থাবর সম্পত্তির কোন অংশ বন্ধক, জিম্মা অথবা বিক্রি, দান, বিনিময় বা অন্যভাবে হস্তান্তর করতে পারবে না, অথবা
(খ) পাঁচ বছরের অধিক সময়ের জন্য কিংবা যে তারিখে নাবালক সাবালক হবে তারপর এক বছরের অধিক সময়ের জন্য তার সম্পত্তির কোন অংশের ইজারা বা পাট্টা প্রদান করতে পারবে না।
ধারা-৩০।
২৮ ধারা বা ২৯ ধারা লংঘনে হস্তান্তরের বাতিল যোগ্যতা:
সর্বশেষ উল্লেখিত দুইটি ধারার যে কোন একটি লংঘন করে কোন অভিভাবক স্থাবর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা করলে তাদ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত যে কোন ব্যক্তির উদ্যোগে তা বাতিলযোগ্য হবে।
সর্বশেষ উল্লেখিত দুইটি ধারার যে কোন একটি লংঘন করে কোন অভিভাবক স্থাবর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা করলে তাদ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত যে কোন ব্যক্তির উদ্যোগে তা বাতিলযোগ্য হবে।
ধারা-৩১।
২৯ ধারার হস্তান্তরে অনুমতি প্রদানে চলতি নিয়ম:
(১) ২৯ ধারায় বর্ণিত যেকোন কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র ব্যতীত অথবা প্রতিপাল্য বা নাবালকের সুস্পষ্ট সুবিধার জন্য ছাড়া আদালত অভিভাবককে কোন অনুমতি দিবেন না।
(২) অনুমতি প্রদানের আদেশে প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধার বর্ণনা থাকবে, যে কার্যে সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে সে সম্পত্তির বর্ণনা থাকবে এবং আদালত যেখানে সঠিক মনে করেন সেরূপ শর্ত অনুমতির সঙ্গে সংযুক্ত করবেন এবং জজ তাঁর নিজ হাতে আদেশ লিখতে কোন কারণে বাধাগ্রস্ত হন তা হলে তার শ্রুতলিপিতে আদেশ লেখা হবে এবং তারিখ ও স্বাক্ষর তাঁর স্বহস্তে হবে।
(৩) আদালত ইচ্ছা করলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো অনুমতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন যে,
(ক) আদালতের অনুমতি ছাড়া বিক্রি সম্পন্ন হবে না;
(খ) এই আইনের অধীনে সুপ্রীম কোর্টের প্রণীত বিধি সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশমত বিক্রিকালে প্রস্তাবিত বিক্রির ঘোষণার পর কোন নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে আদালতের সামনে বা উক্ত উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গের সামনে সর্বোচ্চ ডাককারীর নিকট প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করতে হবে;
(গ) প্রিমিয়াম বা অধিমূল্য বিবেচনায় ইজারা দেয়া হবে না বা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এরূপ মেয়াদের বছরের শর্তে এবং খাজনা ও চুক্তির সাপেক্ষে দেওয়া হবে।
(ঘ) অভিভাবক অনুমতি প্রদত্ত কার্যের লব্ধ টাকার সম্পূর্ণ বা আংশিক আদালতে জাম দিবে যা হতে ব্যয় করা হবে অথবা নির্ধারিত জামিনে বিনিয়োগ করা হবে অথবা আদালতের নির্দেশে অন্যভাবে হস্তান্তর করা হবে।
(৪) ২৯ ধারায় বর্ণিত অভিভাবককে কোন কার্যের অনুমতি প্রদানের পূর্বে আদালতে অনুমতির দরখাস্তের নোটিশ প্রতিপাল্য বা নাবালকের আত্নীয় বা বন্ধুর উপর, আদালতের মতে যাহারা উক্ত নোটিশ পাওয়া উচিত, জারী করা হতে পারে এবং ঐ দরখাস্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি উপস্থিত হলে আদালত তার বক্তব্য শুনবেন এবং তার বিবৃতি লিপিবদ্ধ করবেন।
(১) ২৯ ধারায় বর্ণিত যেকোন কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র ব্যতীত অথবা প্রতিপাল্য বা নাবালকের সুস্পষ্ট সুবিধার জন্য ছাড়া আদালত অভিভাবককে কোন অনুমতি দিবেন না।
(২) অনুমতি প্রদানের আদেশে প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধার বর্ণনা থাকবে, যে কার্যে সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে সে সম্পত্তির বর্ণনা থাকবে এবং আদালত যেখানে সঠিক মনে করেন সেরূপ শর্ত অনুমতির সঙ্গে সংযুক্ত করবেন এবং জজ তাঁর নিজ হাতে আদেশ লিখতে কোন কারণে বাধাগ্রস্ত হন তা হলে তার শ্রুতলিপিতে আদেশ লেখা হবে এবং তারিখ ও স্বাক্ষর তাঁর স্বহস্তে হবে।
(৩) আদালত ইচ্ছা করলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো অনুমতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন যে,
(ক) আদালতের অনুমতি ছাড়া বিক্রি সম্পন্ন হবে না;
(খ) এই আইনের অধীনে সুপ্রীম কোর্টের প্রণীত বিধি সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশমত বিক্রিকালে প্রস্তাবিত বিক্রির ঘোষণার পর কোন নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে আদালতের সামনে বা উক্ত উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গের সামনে সর্বোচ্চ ডাককারীর নিকট প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করতে হবে;
(গ) প্রিমিয়াম বা অধিমূল্য বিবেচনায় ইজারা দেয়া হবে না বা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এরূপ মেয়াদের বছরের শর্তে এবং খাজনা ও চুক্তির সাপেক্ষে দেওয়া হবে।
(ঘ) অভিভাবক অনুমতি প্রদত্ত কার্যের লব্ধ টাকার সম্পূর্ণ বা আংশিক আদালতে জাম দিবে যা হতে ব্যয় করা হবে অথবা নির্ধারিত জামিনে বিনিয়োগ করা হবে অথবা আদালতের নির্দেশে অন্যভাবে হস্তান্তর করা হবে।
(৪) ২৯ ধারায় বর্ণিত অভিভাবককে কোন কার্যের অনুমতি প্রদানের পূর্বে আদালতে অনুমতির দরখাস্তের নোটিশ প্রতিপাল্য বা নাবালকের আত্নীয় বা বন্ধুর উপর, আদালতের মতে যাহারা উক্ত নোটিশ পাওয়া উচিত, জারী করা হতে পারে এবং ঐ দরখাস্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি উপস্থিত হলে আদালত তার বক্তব্য শুনবেন এবং তার বিবৃতি লিপিবদ্ধ করবেন।
ধারা-৩২।
আদালতের নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবকের ক্ষমতার পরিবর্তন:
যেখানে কোন নাবালকের অভিভাবক কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছেন এবং তিনি কালেক্টর নন সেক্ষেত্রে আদালত নাবালক বা প্রতিপাল্যের ব্যক্তিগত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মঙ্গলের জন্য সম্পত্তির ব্যাপারে অভিভাবকের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে বা বাড়িয়ে যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন সেভাবে আদেশ দিতে পারেন।
যেখানে কোন নাবালকের অভিভাবক কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছেন এবং তিনি কালেক্টর নন সেক্ষেত্রে আদালত নাবালক বা প্রতিপাল্যের ব্যক্তিগত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মঙ্গলের জন্য সম্পত্তির ব্যাপারে অভিভাবকের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে বা বাড়িয়ে যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন সেভাবে আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-৩৩।
এরূপ নিয়োগপ্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবকের নাবালকের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ব্যাপার
আদালতের অভিমত চেয়ে দরখাস্ত করার অধিকার:
(১) আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক উক্ত আদালতের নিকট নাবালকের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের যেকোন বর্তমান প্রশ্নের উপর মতামত, উপদেশ অথবা নির্দেশের জন্য আদালতের নিকট দরখাস্ত করতে পারেন।
(২) আদালত যদি উক্ত প্রশ্নকে সংক্ষিপ্তভাবে নিষ্পত্তির যোগ্য মনে করেন তবে আদালত উপযুক্ত মনে করলে যে সমস্ত স্বার্থযুক্ত ব্যক্তি শুনানিতে যোগ দিবেন তাদের উপর উক্ত দরখাস্তের নকল জারি করবেন।
(৩) অভিভাবক সরল বিশ্বাসে দরখাস্তে ঘটনা বিবৃত করে এবং আদালতের দেয়া মতামত উপদেশ বা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করলে দরখাস্তের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে অভিভাবক হিসাবে তা কর্তব্য সম্পন্ন করা হয়েছে বলে মনে করা হবে।
(১) আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক উক্ত আদালতের নিকট নাবালকের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের যেকোন বর্তমান প্রশ্নের উপর মতামত, উপদেশ অথবা নির্দেশের জন্য আদালতের নিকট দরখাস্ত করতে পারেন।
(২) আদালত যদি উক্ত প্রশ্নকে সংক্ষিপ্তভাবে নিষ্পত্তির যোগ্য মনে করেন তবে আদালত উপযুক্ত মনে করলে যে সমস্ত স্বার্থযুক্ত ব্যক্তি শুনানিতে যোগ দিবেন তাদের উপর উক্ত দরখাস্তের নকল জারি করবেন।
(৩) অভিভাবক সরল বিশ্বাসে দরখাস্তে ঘটনা বিবৃত করে এবং আদালতের দেয়া মতামত উপদেশ বা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করলে দরখাস্তের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে অভিভাবক হিসাবে তা কর্তব্য সম্পন্ন করা হয়েছে বলে মনে করা হবে।
ধারা-৩৪।
আদালতের নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত সম্পত্তির অভিভাবকের দায়িত্ব:
যেখানে নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছে এবং কালেক্টর না হলে তিনি-
যেখানে নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছে এবং কালেক্টর না হলে তিনি-
(ক) নাবালকের সাময়িক মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য আদালত চাইলে যথাসম্ভব
নির্ধারিত ফর্মায় আদালতের বিচারকদের নিকট জামানতসহ বা ছাড়া যেমন নির্ধারিত করা হয়,
মুচলেকা দিতে হবে এবং নাবালকের সম্পত্তি হতে যা পাওয়া যায় তার
হিসাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিবে।
(খ) আদালত যদি প্রয়োজন মনে করে নিয়োগ বা ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যে অথবা আদালতের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে বা নাবালক বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তি, টাকা এবং অন্য স্থাবর সম্পত্তি বা বিবরণ দেয়ার তারিখ পর্যন্ত নাবালকের পক্ষ হতে যা তিনি পেয়েছেন এবং ঐ তারিখে নাবালকের দেয় বা প্রাপ্ত ঋণের বিবরণ আদালতে দাখিল করবেন।
(গ) আদালতে যদি প্রয়োজন মনে করে সময় সময় যেভাবে নির্দেশ প্রদান করেন সেভাবে এবং সে সময়ে তার হিসাব এবং সে সময়ে তার হিসাব আদালতে প্রদর্শন করবেন।
(ঘ) আদালতে যদি প্রয়োজন মনে করেন আদালতের নির্দেশিত সময়ে ঐ সমস্ত হিসাবের উদ্বৃত্ত বা উহার ঐ পর্যন্ত যাহা আদালত নির্দেশ দেন তা আদালতে প্রদান করতে হবে।
(ঙ) নাবালকের বা ঐ সমস্ত ব্যক্তি যারা তার পোষ্য তাদের খোরপোষ, শিক্ষা ও উত্কর্ষের জন্য এবং নাবালক বা তার পোষ্যরা পক্ষ থাকতে পারে এমন পবিত্র ক্রিয়াকর্মের ধর্মানুষ্ঠানের জন্য আদালতে আবেদন করবেন এবং নাবালকের সম্পত্তির আয়ের এরূপ অংশের জন্য যা আদালত সময় সময় নির্দেশ দিবেন এবং আদালত আদেশ দিলে ঐ সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা কোন অংশ।
(খ) আদালত যদি প্রয়োজন মনে করে নিয়োগ বা ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যে অথবা আদালতের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে বা নাবালক বা প্রতিপাল্যের সম্পত্তি, টাকা এবং অন্য স্থাবর সম্পত্তি বা বিবরণ দেয়ার তারিখ পর্যন্ত নাবালকের পক্ষ হতে যা তিনি পেয়েছেন এবং ঐ তারিখে নাবালকের দেয় বা প্রাপ্ত ঋণের বিবরণ আদালতে দাখিল করবেন।
(গ) আদালতে যদি প্রয়োজন মনে করে সময় সময় যেভাবে নির্দেশ প্রদান করেন সেভাবে এবং সে সময়ে তার হিসাব এবং সে সময়ে তার হিসাব আদালতে প্রদর্শন করবেন।
(ঘ) আদালতে যদি প্রয়োজন মনে করেন আদালতের নির্দেশিত সময়ে ঐ সমস্ত হিসাবের উদ্বৃত্ত বা উহার ঐ পর্যন্ত যাহা আদালত নির্দেশ দেন তা আদালতে প্রদান করতে হবে।
(ঙ) নাবালকের বা ঐ সমস্ত ব্যক্তি যারা তার পোষ্য তাদের খোরপোষ, শিক্ষা ও উত্কর্ষের জন্য এবং নাবালক বা তার পোষ্যরা পক্ষ থাকতে পারে এমন পবিত্র ক্রিয়াকর্মের ধর্মানুষ্ঠানের জন্য আদালতে আবেদন করবেন এবং নাবালকের সম্পত্তির আয়ের এরূপ অংশের জন্য যা আদালত সময় সময় নির্দেশ দিবেন এবং আদালত আদেশ দিলে ঐ সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা কোন অংশ।
ধারা-৩৪ক।
হিসাব নিরীক্ষার জন্য পারিশ্রমিক প্রদানের ক্ষমতা:
৩৪ ধারার (গ) দফা অনুসারে তলব করা হলে বা অন্যভাবে নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক হিসাবে প্রদর্শন করলে আদালত কোন ব্যক্তিকে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত হিসাব নিরীক্ষা করার জন্য নিয়োগ করতে পারেন এবং সম্পত্তির আয় হতে উক্ত কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেয়ারও নির্দেশ দিতে পারেন।
৩৪ ধারার (গ) দফা অনুসারে তলব করা হলে বা অন্যভাবে নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক হিসাবে প্রদর্শন করলে আদালত কোন ব্যক্তিকে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত হিসাব নিরীক্ষা করার জন্য নিয়োগ করতে পারেন এবং সম্পত্তির আয় হতে উক্ত কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেয়ারও নির্দেশ দিতে পারেন।
ধারা-৩৫।
প্রশাসন-মুচলেকার ক্ষেত্রে অভিভাবকের বিরুদ্ধে মামলা:
যেখানে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক নাবালকের সম্পত্তি হতে যা পেরে পারে তার সঠিক হিসাব দেয়ার জন্য মুচলেকা দিয়েছে, দরখাস্ত দ্বারা আবেদন করলে এবং মুচলেকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয় নাই মর্মে সন্তুষ্ট হলে এবং জামানতের এমন শর্তের উপর অথবা গৃহীত যেকোন টাকা আদালতে প্রদান করার শর্তে অথবা আদালত অন্য যেভাবে উচিত মনে করেন অন্য যে কোন ব্যক্তির নিকট উক্ত মুচলেকা হস্তান্তর করতে পারে এবং ঐরূপ ব্যক্তি তার নিজ নামে মুচলেকার উপর মামলা দায়ের করতে পারবে যেমন আদালতের বিচারকের পরিবর্তে মূলতঃ মুচলেকা তাকে দেয়া হয়েছিল এবং নাবালক বা প্রতিপাল্যের অছি হিসাবে কোন লংঘনের ব্যাপারে আদায় করার অধিকারী হবে।
যেখানে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক নাবালকের সম্পত্তি হতে যা পেরে পারে তার সঠিক হিসাব দেয়ার জন্য মুচলেকা দিয়েছে, দরখাস্ত দ্বারা আবেদন করলে এবং মুচলেকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয় নাই মর্মে সন্তুষ্ট হলে এবং জামানতের এমন শর্তের উপর অথবা গৃহীত যেকোন টাকা আদালতে প্রদান করার শর্তে অথবা আদালত অন্য যেভাবে উচিত মনে করেন অন্য যে কোন ব্যক্তির নিকট উক্ত মুচলেকা হস্তান্তর করতে পারে এবং ঐরূপ ব্যক্তি তার নিজ নামে মুচলেকার উপর মামলা দায়ের করতে পারবে যেমন আদালতের বিচারকের পরিবর্তে মূলতঃ মুচলেকা তাকে দেয়া হয়েছিল এবং নাবালক বা প্রতিপাল্যের অছি হিসাবে কোন লংঘনের ব্যাপারে আদায় করার অধিকারী হবে।
ধারা-৩৬।
প্রশাসন -মুচলেকা না নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকের বিরুদ্ধে মামলা:
আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক উপরোল্লিখিত মতে মুচলেকা দেয় নাই আদালতের অনুমতি নিয়ে যে কোন ব্যক্তি পরবর্তি বন্ধু হিসেবে প্রতিপাল্যের নাবালক থাকাকালীন সময়ে উপরোল্লিখিত শর্তে অভিভাবকের বিরুদ্ধে অথবা তার মৃত্যু হলে প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিভাবক হিসেবে নাবালকের সম্পত্তি হতে যা পেয়েছে তার হিসেবে দেয়ার জন্য মামলা করতে পারে এবং নাবালকের অছি হিসেবে অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির নিকট দেয় টাকা মামলা মারফত আদায় করতে পারে।
আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক উপরোল্লিখিত মতে মুচলেকা দেয় নাই আদালতের অনুমতি নিয়ে যে কোন ব্যক্তি পরবর্তি বন্ধু হিসেবে প্রতিপাল্যের নাবালক থাকাকালীন সময়ে উপরোল্লিখিত শর্তে অভিভাবকের বিরুদ্ধে অথবা তার মৃত্যু হলে প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিভাবক হিসেবে নাবালকের সম্পত্তি হতে যা পেয়েছে তার হিসেবে দেয়ার জন্য মামলা করতে পারে এবং নাবালকের অছি হিসেবে অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির নিকট দেয় টাকা মামলা মারফত আদায় করতে পারে।
(২) (১) উপ-ধারার ব্যবস্থাবলি এই আইন কর্তৃক সংশোধিত দেওয়ানী কার্যবিধির
৩২ আদেশ ১ বিধি এবং ৪ (২) তফশিল–১ সাপেক্ষে অভিভাবকের বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে।
ধারা-৩৭।
অছি হিসাবে অভিভাবকের সাধারণ দায়-দায়িত্ব:
উপরোল্লিখিত শেষ দুই ধারার কোন কিছু দ্বারাই কোন প্রতিপাল্য বা তার প্রতিনিধিকে অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ব্যাখ্যা করা যাবে না। ঐগুলি স্পষ্টভাবে যে কোন ধারায় বলা হয় নাই বিধায় যে কোন স্বত্বভোগী বা তার অছি অথবা অছির প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিকার পাবে।
উপরোল্লিখিত শেষ দুই ধারার কোন কিছু দ্বারাই কোন প্রতিপাল্য বা তার প্রতিনিধিকে অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ব্যাখ্যা করা যাবে না। ঐগুলি স্পষ্টভাবে যে কোন ধারায় বলা হয় নাই বিধায় যে কোন স্বত্বভোগী বা তার অছি অথবা অছির প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিকার পাবে।
অভিভাবকত্বের
অবসান
ধারা-৩৮। যুগ্ন
অভিভাবকদের উত্তর জীবিতার অধিকার:
দুই বা ততোধিক যুগ্ন অভিভাবকদের মৃত্যু হলে আদালত কর্তৃক আরো অভিভাবক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরজীবী বা উত্তরজীবীগণ কর্তৃক অভিভাবকত্ব চালু থাকবে।
দুই বা ততোধিক যুগ্ন অভিভাবকদের মৃত্যু হলে আদালত কর্তৃক আরো অভিভাবক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরজীবী বা উত্তরজীবীগণ কর্তৃক অভিভাবকত্ব চালু থাকবে।
ধারা-৩৯।
অভিভাবকের অপসারণ:
কোন স্বার্থমুক্ত ব্যক্তির দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বা নিজ প্রস্তাবে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক অথবা উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত অভিভাবককে আদালত নিম্নের যে কোন কারণে অপসারণ করতে পারেন। যথা-
কোন স্বার্থমুক্ত ব্যক্তির দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বা নিজ প্রস্তাবে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক অথবা উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত অভিভাবককে আদালত নিম্নের যে কোন কারণে অপসারণ করতে পারেন। যথা-
(ক) তার অছির অপব্যবহারের জন্য;
(খ) তার অছির কর্তব্য পালনে অনবিচ্ছিন্ন ব্যর্থতার জন্য;
(গ) তার অছির কর্তব্য পালনে অযোগ্যতার জন্য;
(ঘ) তার প্রতিপাল্যের প্রতি দুর্ব্যবহার বা তার প্রতি উপযুক্ত যত্ন নিতে অবহেলা করার জন্য;
(ঙ) এই আইনের কোন বিধানের প্রতি বা কোন আদালতের কোন আদেশের প্রতি একগুয়েমিভাবে অবজ্ঞা করার জন্য;
(চ) কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বা আদালতের মতে চরিত্রগত ক্রটি বুঝায় যার দরুন প্রতিপাল্যের অভিভাবক হিসাবে থাকার অযোগ্য হয়ে পড়ে, তার জন্য;
(ছ) বিশ্বস্তভাবে তার কর্তব্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিরূপ স্বার্থ থাকার কারণে;
(জ) আদালতের স্থানীয় এলাকার মধ্যে বাস করা বন্ধ করার কারণে;
(ঞ) প্রতিপাল্য বা নাবালকের ব্যক্তিগত আইনের অধীনে অভিভাবকের অভিভাবকত্ব বন্ধ হলে বা বন্ধ হতে বাধ্য হলে; তবে শর্ত থাকে যে, অভিভাবক উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত হলে এই আইনে ঘোষিত হোক বা না হোক তাহকে অপসারণ করা যাবে না।
(ক) (ছ) দফায় বর্ণিত কারণের জন্য, তবে যে ব্যক্তি তাকে নিয়োগ করেছেন তার মৃতু্যর পর বিরূপ স্বার্থ উদ্ভব না হলে অথবা যদি ইহা দেখানো হয় যে ঐ ব্যক্তি বিরূপ স্বার্থের অস্তিত্বের নিয়োগদান ও বহাল রেখেছে; অথবা
(খ) (জ) দফায় বর্ণিত কারণের জন্য যদি না এরূপ অভিভাবক এমন বাসস্থান নেয় যা আদালতের মতে অভিভাবক হিসাবে কর্তব্য পালনের জন্য অবাস্তব।
(খ) তার অছির কর্তব্য পালনে অনবিচ্ছিন্ন ব্যর্থতার জন্য;
(গ) তার অছির কর্তব্য পালনে অযোগ্যতার জন্য;
(ঘ) তার প্রতিপাল্যের প্রতি দুর্ব্যবহার বা তার প্রতি উপযুক্ত যত্ন নিতে অবহেলা করার জন্য;
(ঙ) এই আইনের কোন বিধানের প্রতি বা কোন আদালতের কোন আদেশের প্রতি একগুয়েমিভাবে অবজ্ঞা করার জন্য;
(চ) কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বা আদালতের মতে চরিত্রগত ক্রটি বুঝায় যার দরুন প্রতিপাল্যের অভিভাবক হিসাবে থাকার অযোগ্য হয়ে পড়ে, তার জন্য;
(ছ) বিশ্বস্তভাবে তার কর্তব্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিরূপ স্বার্থ থাকার কারণে;
(জ) আদালতের স্থানীয় এলাকার মধ্যে বাস করা বন্ধ করার কারণে;
(ঞ) প্রতিপাল্য বা নাবালকের ব্যক্তিগত আইনের অধীনে অভিভাবকের অভিভাবকত্ব বন্ধ হলে বা বন্ধ হতে বাধ্য হলে; তবে শর্ত থাকে যে, অভিভাবক উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত হলে এই আইনে ঘোষিত হোক বা না হোক তাহকে অপসারণ করা যাবে না।
(ক) (ছ) দফায় বর্ণিত কারণের জন্য, তবে যে ব্যক্তি তাকে নিয়োগ করেছেন তার মৃতু্যর পর বিরূপ স্বার্থ উদ্ভব না হলে অথবা যদি ইহা দেখানো হয় যে ঐ ব্যক্তি বিরূপ স্বার্থের অস্তিত্বের নিয়োগদান ও বহাল রেখেছে; অথবা
(খ) (জ) দফায় বর্ণিত কারণের জন্য যদি না এরূপ অভিভাবক এমন বাসস্থান নেয় যা আদালতের মতে অভিভাবক হিসাবে কর্তব্য পালনের জন্য অবাস্তব।
ধারা-৪০।
অভিভাবকের কার্যমুক্তি:
(১) আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক পদত্যাগ করতে ইচ্ছা করলে সে আদালতের নিকট কার্যমুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
(২) আদালত আবেদনের সন্তোষজনক কারণ দেখালে তাকে কার্যমুক্ত করবেন এবং আবেদনকারী অভিভাবক যদি কালেক্টর হন এবং সরকার তার কার্যমুক্তির আবেদন অনুমোদন করেন তবে আদালত তাকে কার্যমুক্ত করবেন।
(১) আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক পদত্যাগ করতে ইচ্ছা করলে সে আদালতের নিকট কার্যমুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
(২) আদালত আবেদনের সন্তোষজনক কারণ দেখালে তাকে কার্যমুক্ত করবেন এবং আবেদনকারী অভিভাবক যদি কালেক্টর হন এবং সরকার তার কার্যমুক্তির আবেদন অনুমোদন করেন তবে আদালত তাকে কার্যমুক্ত করবেন।
ধারা-৪১।
অভিভাবকের কর্তৃত্বের বিরাম:
(১) ব্যক্তির বা শরীরের অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয়-
(ক) তার মৃত্যু, অপসারণ বা কার্যমুক্তিতে;
(খ) কোর্ট অব ওয়ার্ডস প্রতিপাল্যের শরীরের তত্ত্বাবধান গ্রহণ করলে;
(গ) প্রতিপাল্যের নাবালকত্বের বিরতি হলে;
(ঘ) মহিলা প্রতিপাল্যের ক্ষেত্রে তার বিবাহ হলে এবং স্বামী তার ব্যক্তির অভিভাবক হওয়ার অনুপযুক্ত না হলে অথবা অভিভাবক আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়ে থাকলে প্রতিপাল্যের বিবাহের ক্ষেত্রে স্বামী আদালতের মতে অনুপযুক্ত না হলে; অথবা
(ঙ) প্রতিপাল্যের ক্ষেত্রে যার পিতা তাহার শরীরের অভিভাবক হওয়ার অনুপযুক্ত ছিল, উক্ত পিতার (অনুপযুক্ততা) বন্ধ হলে অথবা যদি পিতা আদালত কর্তৃক ঐরূপ অনুপযুক্ত গণ্য হয়ে থাকে, আদালতের মতে তার (উক্ত অনুপযুক্ততার) অবসান হলে।
(২) সম্পত্তির অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয়-
(ক) তার মৃত্যু, অপসারণ বা কার্য মুক্তিতে;
(খ) কোর্ট অব ওয়ার্ডস প্রতিপাল্যের শরীরের তত্ত্বাবধান গ্রহণ করলে;
(গ) প্রতিপাল্যের নাবালকত্বের বিরতি হলে;
(৩) যখন কোন কারণে অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয় আদালত তাকে বা তার মৃত্যু হলে তার প্রতিনিধিকে তার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা নাবালকের সম্পত্তি নির্দেশিত মতে সমর্পণ করার অথবা নাবালকের অতীত বা বর্তমান সম্পত্তির হিসাব নির্দেশিত মতে সমর্পণ করার জন্য তলব করতে পারেন।
(৪) আদালতের তলব মতে সে সম্পত্তি বা হিসাব সমর্পণ করলে পরবর্তীকালে উদঘাটিত হতে পারে এমন প্রতারণা ছাড়া আদালত তাকে দায়-দায়িত্ব হতে মুক্ত ঘোষণা করতে পারে।
(১) ব্যক্তির বা শরীরের অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয়-
(ক) তার মৃত্যু, অপসারণ বা কার্যমুক্তিতে;
(খ) কোর্ট অব ওয়ার্ডস প্রতিপাল্যের শরীরের তত্ত্বাবধান গ্রহণ করলে;
(গ) প্রতিপাল্যের নাবালকত্বের বিরতি হলে;
(ঘ) মহিলা প্রতিপাল্যের ক্ষেত্রে তার বিবাহ হলে এবং স্বামী তার ব্যক্তির অভিভাবক হওয়ার অনুপযুক্ত না হলে অথবা অভিভাবক আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়ে থাকলে প্রতিপাল্যের বিবাহের ক্ষেত্রে স্বামী আদালতের মতে অনুপযুক্ত না হলে; অথবা
(ঙ) প্রতিপাল্যের ক্ষেত্রে যার পিতা তাহার শরীরের অভিভাবক হওয়ার অনুপযুক্ত ছিল, উক্ত পিতার (অনুপযুক্ততা) বন্ধ হলে অথবা যদি পিতা আদালত কর্তৃক ঐরূপ অনুপযুক্ত গণ্য হয়ে থাকে, আদালতের মতে তার (উক্ত অনুপযুক্ততার) অবসান হলে।
(২) সম্পত্তির অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয়-
(ক) তার মৃত্যু, অপসারণ বা কার্য মুক্তিতে;
(খ) কোর্ট অব ওয়ার্ডস প্রতিপাল্যের শরীরের তত্ত্বাবধান গ্রহণ করলে;
(গ) প্রতিপাল্যের নাবালকত্বের বিরতি হলে;
(৩) যখন কোন কারণে অভিভাবকের ক্ষমতার অবসান হয় আদালত তাকে বা তার মৃত্যু হলে তার প্রতিনিধিকে তার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা নাবালকের সম্পত্তি নির্দেশিত মতে সমর্পণ করার অথবা নাবালকের অতীত বা বর্তমান সম্পত্তির হিসাব নির্দেশিত মতে সমর্পণ করার জন্য তলব করতে পারেন।
(৪) আদালতের তলব মতে সে সম্পত্তি বা হিসাব সমর্পণ করলে পরবর্তীকালে উদঘাটিত হতে পারে এমন প্রতারণা ছাড়া আদালত তাকে দায়-দায়িত্ব হতে মুক্ত ঘোষণা করতে পারে।
ধারা-৪২।
মৃত, কার্যমুক্ত বা অপসারিত অভিভাবকের উত্তরাধিকারী নিয়োগ:
যখন আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক কার্যমুক্ত হয়, অথবা প্রতিপাল্যের ব্যক্তিগত আইনের অধীনে কার্য করার অধিকার হতে বিরত হয় অথবা যখন উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত এমন অভিভাবক অপসারিত হয় বা মারা যায়; আদালত নিজ প্রস্তাবে অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে দরখাস্তের উপর প্রতিপাল্য তখনো নাবালক থাকলে তার ব্যক্তি বা সম্পত্তি বা ক্ষেত্রমত উভয়ের জন্য অন্য একজন অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করতে পারেন।
যখন আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক কার্যমুক্ত হয়, অথবা প্রতিপাল্যের ব্যক্তিগত আইনের অধীনে কার্য করার অধিকার হতে বিরত হয় অথবা যখন উইল বা অন্য দলিল দ্বারা নিযুক্ত এমন অভিভাবক অপসারিত হয় বা মারা যায়; আদালত নিজ প্রস্তাবে অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে দরখাস্তের উপর প্রতিপাল্য তখনো নাবালক থাকলে তার ব্যক্তি বা সম্পত্তি বা ক্ষেত্রমত উভয়ের জন্য অন্য একজন অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করতে পারেন।
অনুপূরক
বিধানসমূহ
ধারা-৪৩।
অভিভাবকদের ব্যবহার বা আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আদেশ এবং ঐসব আদেশের বলবত্করণ:
(১) স্বার্থমুক্ত কোন ব্যক্তির দরখাস্তের উপর অথবা নিজ প্রস্তাবে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবকের ব্যবহার বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে আদালত আদেশ জারি করতে পারেন।
(২) যেখানে একজন প্রতিপাল্যের একাধিক অভিভাবক আছে এবং তারা তার মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত কোন প্রশ্নের ব্যাপারে একমত হতে অক্ষম, সেক্ষেত্রে তাদের (অভিভাবক) যেকোন একজন নির্দেশের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন এবং তাদের মতানৈক্যের ব্যাপারে আদালত যেমন উচিত মনে করেন সেভাবে আদেশ দিতে পারেন।
(৩) (১) উপধারা বা (২) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ বিলম্বের দরুন নিষ্ফল প্রতিপন্ন হবে এরূপ প্রতীয়মান হওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া আদালত আদেশ প্রদানের পূর্বে (১) উপ-ধারার অধীনে হলে অভিভাবকের উপর অথবা (২) উ-ধারার অধীনে হলে দরখাস্ত করে নাই এমন অভিভাবকের উপর আবেদন পত্রের নোটিশ বা আদালতের (আদেশ প্রদানের) ইচ্ছার নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিবেন।
(৪) (১) বা (২) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশের অবাধ্যতার ক্ষেত্রে আদেশটি দেওয়ানী কার্যবিধির (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) ৩৯ আদেশ ১ ও ২ বিধির অধীনে মঞ্জুরীকৃত নিষেধাজ্ঞার মত একইভাবে বলবত করতে হবে যেন (১) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে প্রতিপাল্য বাদী এবং অভিভাবক বিবাদী ছিল অথবা (২) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে প্রতিপাল্য বাদী এবং অভিভাবক বিবাদী ছিল অথবা (২) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে আবেদনকারী অভিভাবক বাদী অন্যান্য অভিভাবক বিবাদী ছিল।
(১) স্বার্থমুক্ত কোন ব্যক্তির দরখাস্তের উপর অথবা নিজ প্রস্তাবে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবকের ব্যবহার বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে আদালত আদেশ জারি করতে পারেন।
(২) যেখানে একজন প্রতিপাল্যের একাধিক অভিভাবক আছে এবং তারা তার মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত কোন প্রশ্নের ব্যাপারে একমত হতে অক্ষম, সেক্ষেত্রে তাদের (অভিভাবক) যেকোন একজন নির্দেশের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন এবং তাদের মতানৈক্যের ব্যাপারে আদালত যেমন উচিত মনে করেন সেভাবে আদেশ দিতে পারেন।
(৩) (১) উপধারা বা (২) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ বিলম্বের দরুন নিষ্ফল প্রতিপন্ন হবে এরূপ প্রতীয়মান হওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া আদালত আদেশ প্রদানের পূর্বে (১) উপ-ধারার অধীনে হলে অভিভাবকের উপর অথবা (২) উ-ধারার অধীনে হলে দরখাস্ত করে নাই এমন অভিভাবকের উপর আবেদন পত্রের নোটিশ বা আদালতের (আদেশ প্রদানের) ইচ্ছার নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিবেন।
(৪) (১) বা (২) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশের অবাধ্যতার ক্ষেত্রে আদেশটি দেওয়ানী কার্যবিধির (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) ৩৯ আদেশ ১ ও ২ বিধির অধীনে মঞ্জুরীকৃত নিষেধাজ্ঞার মত একইভাবে বলবত করতে হবে যেন (১) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে প্রতিপাল্য বাদী এবং অভিভাবক বিবাদী ছিল অথবা (২) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে প্রতিপাল্য বাদী এবং অভিভাবক বিবাদী ছিল অথবা (২) উপ-ধারার অধীনে আদেশের ক্ষেত্রে আবেদনকারী অভিভাবক বাদী অন্যান্য অভিভাবক বিবাদী ছিল।
(৫) (২) উপ-ধারার অধীনের ঘটনা ছাড়া এই ধারার কোন কিছুই অভিভাবক হিসেবে
কালেক্টরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ধারা-৪৪।
এখতিয়ার হতে প্রতিপাল্যের অপসারণের জন্য শাস্তি:
যদি প্রতিপাল্যের ব্যাপারে আদালতের কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা বা কার্যকর করা হতে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক ২৬ ধারার বিধান লংঘন করে কোন প্রতিপাল্যকে আদালতের এখতিয়ারের সীমা হতে সরিয়ে নেয় তা হলে সে আদালতের আদেশে অনূর্ধ্ব এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাবাস ভোগ করতে বাধ্য থাকবে।
যদি প্রতিপাল্যের ব্যাপারে আদালতের কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা বা কার্যকর করা হতে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক ২৬ ধারার বিধান লংঘন করে কোন প্রতিপাল্যকে আদালতের এখতিয়ারের সীমা হতে সরিয়ে নেয় তা হলে সে আদালতের আদেশে অনূর্ধ্ব এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাবাস ভোগ করতে বাধ্য থাকবে।
ধারা-৪৫।
অবাধ্যকতা শাস্তি:
(১) নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে যথা-
(ক) নাবালকের জিম্মাদার কোন ব্যক্তি তাকে উপস্থিত করার বা করানোর জন্য ১২ ধারার (১) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ পালনে যদি ব্যর্থ হয় অথবা ২৫ ধারার (১৬) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশের আনুগত্যে অভিভাবকের জিম্মায় নাবালককে ফেরত আনতে বাধ্য করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা না করে, অথবা
(১) নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে যথা-
(ক) নাবালকের জিম্মাদার কোন ব্যক্তি তাকে উপস্থিত করার বা করানোর জন্য ১২ ধারার (১) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ পালনে যদি ব্যর্থ হয় অথবা ২৫ ধারার (১৬) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশের আনুগত্যে অভিভাবকের জিম্মায় নাবালককে ফেরত আনতে বাধ্য করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা না করে, অথবা
(খ) আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত কোন অভিভাবক ৩৪ ধারার (খ) দফা
দ্বারা বা অধীনে অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (ঐ দফায়) প্রয়োজনীয় বিবরণ দাখিল করতে অথবা ঐ
ধারার (গ) দফার অধীনে তলবকৃত হিসাব প্রদর্শন অথবা ঐ ধারার (ঘ) দফার অধীনে তলবকৃত ঐ
সমস্ত হিসাব তার নিকট পাওনা উদ্বৃত্ত আদালতে প্রদান করতে ব্যর্থ হলে অথবা (গ)
অভিভাবক হিসাবে আর নাই এমন কোন ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি কোন সম্পত্তি বা হিসাব
অর্পণের ৪১ ধারার (৩) উপ-ধারার অধীনে প্রদত্ত তলব পালনে ব্যর্থ হলে অবস্থামত ঐ
ব্যক্তি অভিভাবক অথবা প্রতিনিধি আদালতের আদেশে একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা প্রদানে এবং
অবাধ্যতার পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে ত্রুটি চলতে থাকার সময় প্রথম দিনের পরে
প্রতিদিনের জন্য দশ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং সর্বসাকুল্যে পাঁচশত টাকার বেশি নয়
এবং অবস্থামত নাবালককে উপস্থিত বা উপস্থিত করানোর জন্য অথবা তাকে ফেরতে বাধ্য করার
জন্য অথবা বিবরণ দাখিল করার জন্য অথবা হিসাব প্রদর্শনের জন্য অথবা উদ্বৃত্ত
প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি অথবা হিসাব অর্পণের জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়া পর্যন্ত
দেওয়ানী কারাগারে আটক থাকতে বাধ্য থাকবে।
(২) যে ব্যক্তি (১৬ উপ-ধারার অধীনে) প্রতিশ্রুতি দিয়া আটক অবস্থা হতে মুক্তি পেয়ে আদালত কর্তৃক অনুমোদিত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে আদালত তাকে গ্রেফতার করতে এবং পুনঃ দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করতে পারেন।
(২) যে ব্যক্তি (১৬ উপ-ধারার অধীনে) প্রতিশ্রুতি দিয়া আটক অবস্থা হতে মুক্তি পেয়ে আদালত কর্তৃক অনুমোদিত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে আদালত তাকে গ্রেফতার করতে এবং পুনঃ দেওয়ানী কারাগারে সোপর্দ করতে পারেন।
ধারা-৪৬।
কালেক্টর এবং অধস্তন আদালত কর্তৃক প্রতিবেদন:
(১) আদালত কালেক্টর বা অধস্তন আদালতের নিকট হতে এই আইনের মামলায় উদ্ভুত কোন ব্যাপারে প্রতিবেদন তলব করতে এবং উক্ত প্রতিবেদনকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
(২) প্রতিবেদন প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে ক্ষেত্রমত কালেক্টর বা অধস্তন আদালতের বিচারক যেভাবে প্রয়োজন মনে করেন সেভাবে তদন্ত করবেন এবং তদন্তের উদ্দেশ্যে কোন সাক্ষীকে উপস্থিত হতে বা দলিল দাখিল করতে দেওয়ানী কার্যবিধি কর্তৃক আদালতের উপর বর্ণিত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন।
(১) আদালত কালেক্টর বা অধস্তন আদালতের নিকট হতে এই আইনের মামলায় উদ্ভুত কোন ব্যাপারে প্রতিবেদন তলব করতে এবং উক্ত প্রতিবেদনকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
(২) প্রতিবেদন প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে ক্ষেত্রমত কালেক্টর বা অধস্তন আদালতের বিচারক যেভাবে প্রয়োজন মনে করেন সেভাবে তদন্ত করবেন এবং তদন্তের উদ্দেশ্যে কোন সাক্ষীকে উপস্থিত হতে বা দলিল দাখিল করতে দেওয়ানী কার্যবিধি কর্তৃক আদালতের উপর বর্ণিত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন।
ধারা-৪৭।
আপিলযোগ্য আদেশ যেকোন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল চলবে:
(ক) ৭ ধারার অধীনে অভিভাবক নিয়োগ, ঘোষণা অথবা নিয়োগ বা ঘোষণা করতে অস্বীকার করলে, অথবা
(খ) ৯ ধারা (৩) উপ-ধারার অধীনে কোন দরখাস্ত ফেরত দিলে, অথবা
(গ) ২৫ ধারার অধীনে অভিভাবকের জিম্মায় প্রতিপাল্যকে ফেরত দেয়ার আদেশ করা বা আদেশ করতে অস্বীকৃতি জানালে, অথবা
(ঘ) ২৬ ধারার অধীনে প্রতিপাল্যকে আদালতের এলাকার সীমা হতে সরিয়ে নেয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করলে অথবা সে বিষয়ে শর্ত আরোপ করলে, অথবা
(ঙ) ২৮ বা ২৯ ধারার অধীনে কোন অভিভাবক ঐ ধারাতে উল্লিখিত কোন কাজ করার জন্য অনুমতি প্রত্যাখ্যান করলে, অথবা
(চ) ৩২ ধারার অধীনে কোন অভিভাবকের ক্ষমতা সংজ্ঞায়িত, সীমাবদ্ধ বা বৃদ্ধি করলে, অথবা
(ছ) ২ঌ ধারার অধীনে কোন অভিভাবককে অপসারণ করলে, অথবা
(জ) ৪০ ধারার অধীনে কোন অভিভাবককে কার্যমুক্ত করতে অস্বীকার করলে, অথবা
(ঝ) ৪৩ ধারার অধীনে কোন অভিভাবকের আচরণ বা কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করলে বা যুগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে কোন পার্থক্যের বিষয় সিদ্ধান্ত দিলে, বা আদেশটি বলবত করলে, অথবা
(ঞ) ৪৪ ধারার ৩৪ ধারার অধীনে কোন জরিমানা আরোপ করলে।
এই শর্তে যে, যেখানে জেলা আদালতের অধস্তন কোন কর্মকর্তা প্রদত্ত আদেশ হতে আপীল শ্রেয়, সেখানে জেলা আদালতে আপীল চলবে।
(ক) ৭ ধারার অধীনে অভিভাবক নিয়োগ, ঘোষণা অথবা নিয়োগ বা ঘোষণা করতে অস্বীকার করলে, অথবা
(খ) ৯ ধারা (৩) উপ-ধারার অধীনে কোন দরখাস্ত ফেরত দিলে, অথবা
(গ) ২৫ ধারার অধীনে অভিভাবকের জিম্মায় প্রতিপাল্যকে ফেরত দেয়ার আদেশ করা বা আদেশ করতে অস্বীকৃতি জানালে, অথবা
(ঘ) ২৬ ধারার অধীনে প্রতিপাল্যকে আদালতের এলাকার সীমা হতে সরিয়ে নেয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করলে অথবা সে বিষয়ে শর্ত আরোপ করলে, অথবা
(ঙ) ২৮ বা ২৯ ধারার অধীনে কোন অভিভাবক ঐ ধারাতে উল্লিখিত কোন কাজ করার জন্য অনুমতি প্রত্যাখ্যান করলে, অথবা
(চ) ৩২ ধারার অধীনে কোন অভিভাবকের ক্ষমতা সংজ্ঞায়িত, সীমাবদ্ধ বা বৃদ্ধি করলে, অথবা
(ছ) ২ঌ ধারার অধীনে কোন অভিভাবককে অপসারণ করলে, অথবা
(জ) ৪০ ধারার অধীনে কোন অভিভাবককে কার্যমুক্ত করতে অস্বীকার করলে, অথবা
(ঝ) ৪৩ ধারার অধীনে কোন অভিভাবকের আচরণ বা কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করলে বা যুগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে কোন পার্থক্যের বিষয় সিদ্ধান্ত দিলে, বা আদেশটি বলবত করলে, অথবা
(ঞ) ৪৪ ধারার ৩৪ ধারার অধীনে কোন জরিমানা আরোপ করলে।
এই শর্তে যে, যেখানে জেলা আদালতের অধস্তন কোন কর্মকর্তা প্রদত্ত আদেশ হতে আপীল শ্রেয়, সেখানে জেলা আদালতে আপীল চলবে।
ধারা-৪৮।
অন্যান্য আদেশের উপসংহার:
উপরোক্ত শেষ ধারার এবং দেওয়ানী কার্যবিধি ১১৫ ধারার (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) বিধান ছাড়া এই আইনের প্রদত্ত যেকোন আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোন মামলা বা অন্যভাবে তা বিতর্কের যোগ্য হবে না।
উপরোক্ত শেষ ধারার এবং দেওয়ানী কার্যবিধি ১১৫ ধারার (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) বিধান ছাড়া এই আইনের প্রদত্ত যেকোন আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোন মামলা বা অন্যভাবে তা বিতর্কের যোগ্য হবে না।
ধারা-৪৯।
খরচ:
কোন অভিভাবক বা অন্য কোন ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাবাসে আটক রাখার খরচ সহ এই আইনের যেকোন মামলার খরচ অত্র আইনের অধীনে হাইকোর্ট ডিভিশনের প্রণীত কোন বিধি সাপেক্ষে যেই আদালতের মামলা সেই আদালতের বিবেচনার উপর নির্ভর করবে।
কোন অভিভাবক বা অন্য কোন ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাবাসে আটক রাখার খরচ সহ এই আইনের যেকোন মামলার খরচ অত্র আইনের অধীনে হাইকোর্ট ডিভিশনের প্রণীত কোন বিধি সাপেক্ষে যেই আদালতের মামলা সেই আদালতের বিবেচনার উপর নির্ভর করবে।
ধারা-৫০।
হাইকোর্ট ডিভিশনের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা:
(১) এই আইন দ্বারা স্পষ্ট বা অন্যভাবে প্রদত্ত বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ছাড়া হাইকোর্ট ডিভিশন সময় সময় এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিধি প্রণয়ন করতে পারেন-
(ক) কালেক্টর বা অধস্তন আদালত হতে কোন বিষয়ে এবং কি সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন তলব করা উচিত, সে ব্যাপারে
(খ) অভিভাবকের জন্য কি ভাটা মঞ্জুর এবং তাদের নিকট হতে কি জামিন চাওয়া হবে এবং কোন ক্ষেত্রে ঐরূপ ভাতা মঞ্জুর করা উচিত হবে, সে ব্যাপারে;
(গ) কি কি অবস্থায় ৩৪ ধারার (ক), (খ) ও (ঘ) দফায় বর্ণিত বিষয়ে তলব দেয়া উচিত হবে, সে ব্যাপারে
(ঙ) অভিভাবক কর্তৃক প্রদত্ত বিবরণ এবং প্রদর্শিত হিসেবে সংরক্ষণের ব্যাপারে
(চ) স্বার্থযুক্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক ঐ সব বিবরণ এবং হিসাব পরিদর্শনের ব্যাপারে;
(ছ) ৩৪-ক ধারার অধীনে হিসাব নিরীক্ষার জন্য যে শ্রেণীর লোক নিয়োগ করা উচিত এবং পারিশ্রমিকের কি ধাপ মঞ্জুর করা উচিত সে ব্যাপারে;
(জ) প্রতিপাল্যের টাকার জিম্মা টাকার জামিনের ব্যাপারে;
(ঝ) প্রতিপাল্যের টাকা বিনিয়োগ করার জামিনের ব্যাপারে;
(ঞ) প্রতিপাল্যের শিক্ষার ব্যাপারে যার জন্য কালেক্টর নয় এবং এমন অভিভাবক আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছেন সে বিষয়ে;
(ট) সাধারণত এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনে আদালত সমূহের নির্দেশনার জন্য।
(২) (১) উপ-ধারার (ক) এবং (জ) দফা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হলে কার্যকরী হবে না এবং এই ধারার কোন বিধিই সরকারি গেজেট এ প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে কার্যকরী হবে না।
ধারা-৫১। বাতিল করা হয়েছে।(১) এই আইন দ্বারা স্পষ্ট বা অন্যভাবে প্রদত্ত বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ছাড়া হাইকোর্ট ডিভিশন সময় সময় এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিধি প্রণয়ন করতে পারেন-
(ক) কালেক্টর বা অধস্তন আদালত হতে কোন বিষয়ে এবং কি সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন তলব করা উচিত, সে ব্যাপারে
(খ) অভিভাবকের জন্য কি ভাটা মঞ্জুর এবং তাদের নিকট হতে কি জামিন চাওয়া হবে এবং কোন ক্ষেত্রে ঐরূপ ভাতা মঞ্জুর করা উচিত হবে, সে ব্যাপারে;
(গ) কি কি অবস্থায় ৩৪ ধারার (ক), (খ) ও (ঘ) দফায় বর্ণিত বিষয়ে তলব দেয়া উচিত হবে, সে ব্যাপারে
(ঙ) অভিভাবক কর্তৃক প্রদত্ত বিবরণ এবং প্রদর্শিত হিসেবে সংরক্ষণের ব্যাপারে
(চ) স্বার্থযুক্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক ঐ সব বিবরণ এবং হিসাব পরিদর্শনের ব্যাপারে;
(ছ) ৩৪-ক ধারার অধীনে হিসাব নিরীক্ষার জন্য যে শ্রেণীর লোক নিয়োগ করা উচিত এবং পারিশ্রমিকের কি ধাপ মঞ্জুর করা উচিত সে ব্যাপারে;
(জ) প্রতিপাল্যের টাকার জিম্মা টাকার জামিনের ব্যাপারে;
(ঝ) প্রতিপাল্যের টাকা বিনিয়োগ করার জামিনের ব্যাপারে;
(ঞ) প্রতিপাল্যের শিক্ষার ব্যাপারে যার জন্য কালেক্টর নয় এবং এমন অভিভাবক আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বা ঘোষিত হয়েছেন সে বিষয়ে;
(ট) সাধারণত এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনে আদালত সমূহের নির্দেশনার জন্য।
(২) (১) উপ-ধারার (ক) এবং (জ) দফা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হলে কার্যকরী হবে না এবং এই ধারার কোন বিধিই সরকারি গেজেট এ প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে কার্যকরী হবে না।
ধারা-৫২। বাতিল করা হয়েছে।
ধারা-৫৩। বাতিল করা হয়েছে।
*********************
No comments:
Post a Comment