গার্ল ফ্রেন্ড খুজছেন ? (Looking for Girl Friend?)

পুরুষমাত্রই নারীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে এটাই স্বাভাবিক। এর ঠিক বিপরীতটা হচ্ছে অসুস্থতা। জীবনে চলার পথে একজন গার্ল ফ্রেন্ড থাকলে জীবটা আনন্দময় মনে  হয়। তাইতো ছেলেরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করে।

গার্লফ্রেন্ড এর কনসেপ্টটি এসেছে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে। সেখানে গার্লফ্রেন্ড শুধুমাত্র স্ত্রীর মর্যাদা পায়না কিন্তু স্ত্রীর মতোই আচরণ করে। বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই উভয়ের প্রতি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যায়। সংসার অনেকের কাছে জেলখানার মতো মনে হয়। তাই গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করাটাই আনন্দদায়ক।

আমাদের দেশে গার্ল ফ্রেন্ড বলতে প্রেমিকাকে বুঝায়। সেখানে বাবা-মা আর সমাজকে ফাঁকি দিয়েই তারা সম্পর্ক বজায় রাখে। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হয় আর এতেই তারা খুশি থাকে।

তবে আজকাল এই ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। লজ্জার মাথা খেয়ে সমাজে সকলের সামনেই ছেলেরা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

বিবাহিতদের যদি গার্ল ফ্রেন্ড থাকে তবে তাকে বলে পরকীয়া। সমাজে এখনো এটাকে অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়।

তবে যেভাবেই হোক না কেন আপনার গার্লফ্রেন্ড যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন আইন আদালতে কোন প্রকার অভিযোগ দায়ের না করে তবে কোনটাই সমস্যা নয়।

সমস্যা আছে অন্য জায়গায়। গার্লফ্রেন্ড খুঁজতে গিয়ে বিপদে পড়ার আশঙ্ক রয়েছে। খবরদার ইভটিজিং মামলায় জড়িয়ে পড়বেন না যেন!

আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনাকে ঠকাতে পারে।
* তার আগে কোন বিয়ে হয়ে থাকতে পারে।
* তার বংশগত কোন রোগ থাকতে পারে।
* সে মিথ্যা তথ্যা সরবরাহ করে থাকতে পারে।
* সে চরিত্রহীনা হয়ে থাকতে পারে।
* সে আপনার সম্পত্তির প্রতি লোভ করে থাকতে পারে।
* সে কোন জঙ্গি-সন্ত্রান গ্রুপের সদস্য হয়ে থাকতে পারে।
* সে আপনাকে প্রকৃত ভাল নাও বাসতে পারে।
* তার অন্য এক বা একাধিক বয়ফ্রেন্ড থাকতে পারে।
* সে কৌশলে আপনার সাথে তার ছবি তুলে ভয়ংকর কিছু করেতে পারে।
* আপনার সাথে তার কথোপকথন রেকর্ড করেও কিছু করতে পারে।
* আপনাকে উত্তেজিত করে অসামাজিক কাজে উৎসাহিত করতে পারে এবং তার কিছু ভিডিও রেখে ব্লাকমেইল করতে পারে।
* ফেজবুকে বা ভিডিও ফোনে কথা বলার সময় আপনাকে উত্তেজিত করে আপনার অশ্লীল ফটো তুলে রেখে ব্লাক মেইল করতে  পারে।

যেভাবেই হোক আপনি যদি একজন যোগ্য পাত্র হয়ে থাকেন আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার গলায় ঝুলে পড়ার জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা করবে।

এখন আপনি বলতে পারেন আরে ভাই এত কথা কিসের জন্য? আমি তো নিজেই তাকে বিয়ে করার জন্য সবকিছু করছি।
এটা হলে তো আর কোন সমস্যা নেই। তবে উপরের কথাগুলো আবারো পড়ে নেওয়ার অনুরোধ রইল। কেননা, বিয়ের পর আপনার মনে হবে আপনি খুবই যোগ্য একটা ছেলে, আর আপনি আপনার স্ত্রীর অপেক্ষা অনেক বেশী সুন্দরী, বুদ্ধিমতি, মেধাবী মেয়ে বিয়ে করতে পারতেন। আপনার মনে হবে আপনার স্ত্রী অনেক কৌশলে আপনার গলায় ঝুলে পড়েছে। তার তা মনে না হলে তো ভাল।

তবে যারা আজাইর‌্যা কোন মেয়ের সাথে সময় কাটানোর জন্য প্রেম করতে চান তাদের জন্য সাধু সাবধান! একটা মেয়ে একটা ছেলের জীবনটা বরবাদ করে দিতে পারে। দেশে মেয়েদের জন্য অনেক আইন আছে কিন্তু ছেলেদের বাঁচার জন্য একটাও নাই। মেয়েরা যত মিথ্যে কথাই  বলুন সমাজের মানুষ, আইন-আদালত এমনকি আপনার বন্ধুরাও তার কথাই বিশ্বাসে করবে, আপনার সত্য কথাগুলোকে মনে করবে চরম মিথ্যে।

মনে রাখবেন মেয়েরা ছলনাময়ী এটা মনে রাখলেই চলবে। এবার ভেবে দেখুন গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করবেন নাকি বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মেয়েদের থেকে 100 হাত দুরে থাকবেন?